লক্ষ্মীপুরে জোর পূর্বক প্রি-পেইড মিটার দিয়ে ডিজিটাল চুরি!!

লক্ষ্মীপুরে জোর পূর্বক প্রি-পেইড মিটার দিয়ে ডিজিটাল চুরি!!

আলমগীর হোসেন ,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ-
যে দেশে ১০০% বিদ্যুৎ, রাস্তা ঘাট, গ্যাস, পানি নিষ্কাষনের ড্রেন নাই। সে দেশে এনালক মিটার নিয়ে ডিজিটাল মিটার , ডিজিটাল মিটার নিয়ে জোর জুলুম করে প্রি-পেইড মিটার লাগিয়ে দিচ্ছে বিদ্যুৎ অফিস। আমাদেরতো মিটার ছিল। আমরাতো বলি নাই নতুন মিটার দেওয়ার জন্য। একবার টাকা দিয়ে মিটার এনেছি। এখন সরকার প্রি-পেইড সিস্টেম চালু করতে গিয়ে আগের কিনা মিটারটি খুলে নিয়েছ্ েসে সময়ে তারা বলেছিল মিটার বাবদ কোনো টাকা দিতে হবে না। তাহলে আবার কেন মিটারের জন্য টাকা দেব। প্রি-পেইড মিটার লাগানোর সময় তখন মিটারের টাকার কথা বলেনি। কিন্তু এখন প্রতিমাসে মিটার ভাড়া বাবদ কার্ড রির্চাজ করা মাত্রই ৪০ টাকা কেটে নিচ্ছে।
এমনটাই বললেন লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডে সমসেরাবাদ গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা এড.মহসিন কবির স্বপন। তাদের বাড়িতে মোট ১৮ টি মিটার রয়েছে।
পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ড সমসসেরাবাদ লামচরি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা সফিকুর রহমান (৫৫) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ১১ নভেম্বর ঘন্টার পর ঘন্টা লক্ষ্মীপুর ঝুমুর হল এলাকা পিডিপি বিদ্যুৎ অফিসে লাইনে দাড়িয়ে ৫০০ শত টাকার একটি কার্ড (বিদ্যুত বিলের জন্য দেয়া আগাম টাকা জমা দেয়ার রসিদ) নিতে পেরেছি। কার্ড রির্চাজ করার পর বিভিন্ন খাতে টাকা কেটে নেয়ার পর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারব মাত্র ৩৫১ টাকা ১৯ পয়সা। মিটার ভাড়া কেটেছে ৪০ টাকা, সার্ভিস র্চাজ ১০ টাকা, ডিমান্ড চার্জ ৭৫ টাকা ও ভ্যাট বাবদ কাটা হয়েছে ২৩ টাকা ৮১ পয়সা। তিনি আরো বলেন এর আগে ৩০০ টাকার একটি কার্ড কিনে পেয়েছিলাম ১৫০ টাকা।
১৬ অক্টোবর ৫০০ শত টাকা রির্চাজ করার পর দেখি ৩৪০ টাকা ৪৮ পয়সা মিটারের রয়েছে, ২৯ অক্টোবর ৫০০ শত টাকা রির্চাজ করার পর ভ্যাট কেটেছে ২৩ টাকা ৮১ পয়সা। তাদের বাড়িতে ৯ টি মিটার রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এর আগে ৩০ নভেম্বর কিলো ও লোড বাবদ পূবালী ব্যাংকে লক্ষ্মীপুর শাখা ১১২৫ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির এড. বোরহান উদ্দিন জানান, ৩০০ শত টাকা রির্চাজ করার পরও ৩ দিন যাবত আমার মিটার বন্ধ রয়েছে। এটা একটি বাড়তি জামিলা।
পৌর শহরের ১ন ং ওয়ার্ডের উত্তর মজুপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ৩০০ শত টাকা রির্চাজ করার এক দিন পর দেখি এক টাকাও মিটারের নেই। বৃহস্পতিবার আরো ৩০০ টাকা রির্চাজ করলাম, আগে মিটারতো ভালোই ছিলো। এখনতো বিদ্যুৎ অফিস ডাকাতি শুরু করেছেন।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন বর্তমানে লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাজে এখন প্রি-পেইড মিটার সংযোগ দিচ্ছে। শুরুতে গ্রায়ক সুবিধার কথা বলা হলেও বর্তমানে প্রি-পেইড মিটার গলায় ফাঁস হয়ে দেখা দিয়েছে। গ্রাহকদেরকে অন্ধকারে রেখে এ সিস্টেম চালু করে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে প্রি-পেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকরা রাগে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। বিদ্যুৎ প্রি-পেইড মিটার নিতে অধিকাংশ গ্রাহকের অনাগ্রহ রয়েছে। প্রতি মাসে গ্রাহকদের প্রতিটি সিঙ্গেল ফ্রেজ মিটারের জন্য ৪০ টাকা এবং থ্রিফেজ মিটারের জন্য ২৫০ টাকা জমা দেয়ার সময়েই কেটে নেয়া হচ্ছে।
একজন গ্রাহককে দশ বছর ধরে প্রতি মাসে মিটারের জন্য এই টাকা পরিশোধ করতে হবে। গ্রাহকেরা বলেছেন, প্রি-পেইড মিটার ‘পোষ্টপেইড’ যন্ত্রনা শুরু হয়েছে। এক দিকে চায়না প্রি-পেইড মিটার নিয়ে বিপাকে আছেন গ্রাহকেরা। তার ওপর লোডের বিষয় নিয়েও আছে চরম বিপত্তি। এরই মাজে প্রতি মাসে আবার বিলের সাথে যুক্ত হচ্ছে মিটারের ভাড়া।
গ্রাহকদের অভিযোগ , কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই প্রি-পেইড মিটার লাগানো শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, দশ বছর ধরে মিটারের মূল্য পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু কোনো মিটার যদি কয়েক বছরের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায় সেক্ষেত্রে একজন গ্রাহক আবার নতুন মিটার নিলে তার মূল্য পরিশোধের পদ্ধতি কেমন হবে। এসব বিষয়ে কোনো ধরনের প্রচারণা নেই কর্তৃপক্ষের। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অন্ধকারে রেখে এ সিস্টেম চালু করে বিদ্যুৎ গ্রাহয়কদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। সব মিলিয়ে প্রিপেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকরা ক্ষোভে ফুঁসছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment